আরেকটি ধাক্কায় গণতন্ত্রহরণকারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪, বৃহস্পতিবার : ‘সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। সম্পূর্ণভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আরেকটি ধাক্কায় গণতন্ত্রহরণকারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আযোজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এমন কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারি ছরকার কো অর এক ধাক্কা লাগাদো। অবৈধ সরকারকে আরেকটি ধাক্কা দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এখন তাদের আরেকটা ধাক্কা দিতে হবে। তাহলেই দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।। এই একটি ইস্যুতেই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ স্বৈরাচারকে হটিয়ে নোংরা পচে যাওয়া রাজনৈতিক কালচার পরিবর্তন করতে পারে, বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে, এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা দ্রুত শেষ করতে সরকার উঠেপড়ে লেগেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সেজন্য মামলার আদালতও অন্যায়ভাবে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যান্য হাজার হাজার মামলা পড়ে থাকলেও সেগুলো নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো নেই। অথচ গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করা নেত্রীর নামে মিথ্যা মামলা দ্রুত শেষ করার পাঁয়তারা চলছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অন্যায়ভাবে তার (বেগম খালেদা জিয়া) নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। দুর্ভাগ্য এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েও হতাশ হয়েছি। সরকার বিচার বিভাগকে পুরো নিয়ন্ত্রণ করে মামলার রায় দিতে বিচারকদের বাধ্য করছে। বিচার বিভাগের এতটুকু স্বাধীনতা নেই। এখন বিচারকরা রায় দেয় ওপর মহলের নির্দেশে।
সরকার আন্তর্জাতিকভাবে বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে, দাবি করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিদেশী সব দেশের সঙ্গেই সরকারের ভালো সম্পর্ক নেই। দেশ বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে। বিদেশে মানুষ কাজে যেতে পারছে না। দেশে অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এ বিষয়ে সরকারের কোনো বোধোদয় নেই।
তিনি বলেন, দুর্নীতি বেড়েছে আর দুদক দায়মুক্তি দিয়েছে। এটি এখন সরকারের বি টিম হিসেবে কাজ করছে। এটি দুর্নীতি দমন কমিশন নয়, দায়মুক্তি কমিশনে পরিণত হয়েছে। সরকার প্রশাসনকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের অপছন্দের লোক হলেই তাকে ওএসডি করে রাখা হচ্ছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও দলীয়করণ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোক না হলে তাকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে না।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তাফা ভূইয়া, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) মহাসচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান প্রমুখ।